সংক্ষেপে যাকাত ও সদকাতুল ফিতরের মাসায়েল
এক নজরে যে সকল সম্পদে যাকাত ওয়াজিব হবে:
1. নগদ/নগদায়নযোগ্য অর্থ, ও প্রাপ্য ঋণ।
2. নিজ হাতে কিংবা কোন ব্যক্তি বিশেষের হাতে গচ্ছিত অর্থ যে উদ্দেশ্যেই হোক,অর্থাৎ ভবিষ্যতে কোন কাজ সম্পাদন যেমন হজ্ব, বিবাহ, গৃহনির্মাণ ও ব্যবসা বানিজ্য ইত্যাদির উদ্দেশ্যে জমাকৃত অর্থ।
3. ব্যাংক বা অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যে কোন ধরনের একাউন্ট যথা: কারেন্ট, সেভিংস, ফিক্সড, লকার ইত্যাদিতে জমাকৃত অর্থ।
4. ফেরতযোগ্য বীমা পলিসিতে জমাকৃত প্রিমিয়াম।
5. যে কোন ধরনের বন্ড, ডিবেঞ্চার ও ট্রেজারী বিল ইত্যাদির ক্রয়মূল্য।
6. ঐচ্ছিক প্রভিডেন্ট ফান্ডের সমুদয় অর্থ।
7. বাধ্যতামূলক প্রভিডেন্ট ফান্ডে স্বেচ্ছা প্রদত্ত অতিরিক্ত অংশ।
8. কাউকে ঋণ হিসেবে প্রদেয় অর্থ ( যদি ঋণগ্রহিতা তা স্বীকার করে এবং তা প্রাপ্তির আশা থাকে)
9. বিক্রিত পণ্যের মূল্য যা এখনো হস্তগত হয়নি বা বিল অব এক্সচেন্জ।
10. ফ্ল্যাট, বাড়ী, দোকান ইত্যাদি ভাড়া নেয়ার সময় সিকিউরিটি কিংবা এডভান্স হিসেবে প্রদত্ত ফেরতযোগ্য অর্থ।
11. ব্যবসার পণ্য যেমন: বিক্রয়যোগ্য মজুদ, উৎপাদিত মজুদ, কাঁচামাল, প্রক্রিয়াধীন পণ্য ও প্যাকেটিং-প্যাকেজিং পণ্য।
12. এমন জিনিস যা বিক্রি করে লাভবান হওয়ার উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়েছে এবং সে ইচ্ছা এখনো বিদ্যমান রয়েছে। যেমন: বিক্রির উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত জমি, প্লট, ফ্ল্যাট, ধান, আলু পিয়াজ, মরিচ ইত্যাদি।
13. মুদারাবা কিংবা অংশীদারী কারবারে বিনিয়োগকৃত অর্থের নগদ অংশ, তা দ্বারা ক্রয়কৃত ব্যবসা পণ্য এবং যাকাতযোগ্য লভ্যাংশ।
14. শেয়ার- কোম্পানীর শেয়ার যদি Capital gain অর্থাৎ দাম বাড়লে বিক্রি করে দিবে এ উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয় তাহলে তার পূর্ণ বাজারদরের উপর যাকাত আসবে। আর যদি কোম্পানী হতে বাৎসরিক মুনাফা অর্জনের উদ্দেশ্যে ক্রয় করা হয়, তাহলে কোম্পানীর যে পরিমাণ সম্পদ যাকাতযোগ্য, শেয়ার প্রতি তার আনুপাতিক হার যা দাড়ায় শুধুমাত্র সে পরিমাণের যাকাত দিতে হবে, যা কোম্পানীর ব্যালেন্স শীটের সাহায্যে নির্ণয় করা যাবে। তবে যদি যাকাতযোগ্য সম্পদের পরিমাণ জানা সম্ভব না হয় তাহলে সতর্কতামূলক পূর্ণ বাজারমূল্যের যাকাত দিতে হবে।
1. প্রবৃদ্ধি,ব্যবসা, চিকিৎসা, সাংসারিক বা এধরনের প্রয়োজনে নেয়া ঋণ
2. বাকীতে ক্রয়কৃত পণ্যের অপরিশোধিত মূল্য যা এবছরই আদায় করতে হবে
3. স্ত্রীর মোহর যা চলতি বছর দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে
4. ফ্ল্যাট,দোকান,বাড়ী ইত্যাদি ভাড়া দেয়ার সময় সিকিউরিটি কিংবা এডভান্স হিসেবে নেয়া ফেরতযোগ্য অর্থ
5. কর্মচারীদের অনাদায়ী বেতন ভাতা, ট্যক্স, বাড়ী ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ফোন বিল ইত্যাদি অতীতের আদায়যোগ্য দেনা যা এখনো দেয়া হয়নি
6. অতীতের যাকাত যা এখনো আদায় করা হয়নি (কেননা তা পূরোটাই যাকাত হিসেবে আদায় করে দিতে হবে)
7. সুদ বা হারাম পন্থায় অর্জিত অর্থ (কেননা তা সম্পূর্ণই সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দিতে হবে)
8. প্রবৃদ্ধি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে নেয়া ঋণ যা দ্বারা যাকাতযোগ্য সম্পদ যেমন : কাঁচামাল , ব্যবসায়ীপণ্য ইত্যাদি ক্রয় করা হয়েছে, অবশ্য যদি তা দ্বারা এমন সম্পদ ক্রয় করা হয় যা যাকাতযোগ্য নয় যেমন: জমি বিল্ডিং, ফ্যাক্টরির জন্য মেশিন ইত্যাদি তাহলে যাকাতের ক্ষেত্রে তা ঋণ হিসেবে ধর্তব্য হবে না।
তথ্যপণ্জি:
কিতাবুল আসল,২/৫৬, রদ্দুল মুহতার,৩/৩৪৩, হিদায়া,২/৭-৩৫, ইনায়াহ,২/২৬৩-২৬৮, তাবয়ীনুল হাকায়েক,১/২৯৯, বিনায়া,৩/৫২১-৫৫০, এ্যাওফি আন্তর্জাতিক শরীয়া বোর্ড, স্ট্যান্ডার্ড নং:৩৫, জাওয়াহিরুল ফিকহ,৬/৬৯, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল,২/২৭৭ জাদীদ ফিকহী মাবাহেছ,৩/১৪৩, যাকাতের মাসায়েল,১২৫-১২৯)
বি:দ্র: আপনার সমগ্র সম্পদ থেকে উপরেল্লিখিত যে সকল সম্পদে যাকাত আসবে না তার যোগফলকে বাদ দেয়া হলে যা অবশিষ্ট থাকবে তা যদি নেসাব পরিমাণ হয় তাহলে তার চল্লিশ ভাগের একভাগ যাকাত আদায় করতে হবে।
যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত ওয়াজিব হয় (নেসাব)2. বাকীতে ক্রয়কৃত পণ্যের অপরিশোধিত মূল্য যা এবছরই আদায় করতে হবে
3. স্ত্রীর মোহর যা চলতি বছর দেয়ার ইচ্ছা রয়েছে
4. ফ্ল্যাট,দোকান,বাড়ী ইত্যাদি ভাড়া দেয়ার সময় সিকিউরিটি কিংবা এডভান্স হিসেবে নেয়া ফেরতযোগ্য অর্থ
5. কর্মচারীদের অনাদায়ী বেতন ভাতা, ট্যক্স, বাড়ী ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ফোন বিল ইত্যাদি অতীতের আদায়যোগ্য দেনা যা এখনো দেয়া হয়নি
6. অতীতের যাকাত যা এখনো আদায় করা হয়নি (কেননা তা পূরোটাই যাকাত হিসেবে আদায় করে দিতে হবে)
7. সুদ বা হারাম পন্থায় অর্জিত অর্থ (কেননা তা সম্পূর্ণই সাওয়াবের নিয়ত ছাড়া সদকা করে দিতে হবে)
8. প্রবৃদ্ধি বা ব্যবসার উদ্দেশ্যে নেয়া ঋণ যা দ্বারা যাকাতযোগ্য সম্পদ যেমন : কাঁচামাল , ব্যবসায়ীপণ্য ইত্যাদি ক্রয় করা হয়েছে, অবশ্য যদি তা দ্বারা এমন সম্পদ ক্রয় করা হয় যা যাকাতযোগ্য নয় যেমন: জমি বিল্ডিং, ফ্যাক্টরির জন্য মেশিন ইত্যাদি তাহলে যাকাতের ক্ষেত্রে তা ঋণ হিসেবে ধর্তব্য হবে না।
তথ্যপণ্জি:
কিতাবুল আসল,২/৫৬, রদ্দুল মুহতার,৩/৩৪৩, হিদায়া,২/৭-৩৫, ইনায়াহ,২/২৬৩-২৬৮, তাবয়ীনুল হাকায়েক,১/২৯৯, বিনায়া,৩/৫২১-৫৫০, এ্যাওফি আন্তর্জাতিক শরীয়া বোর্ড, স্ট্যান্ডার্ড নং:৩৫, জাওয়াহিরুল ফিকহ,৬/৬৯, জাদীদ ফিকহী মাসায়েল,২/২৭৭ জাদীদ ফিকহী মাবাহেছ,৩/১৪৩, যাকাতের মাসায়েল,১২৫-১২৯)
বি:দ্র: আপনার সমগ্র সম্পদ থেকে উপরেল্লিখিত যে সকল সম্পদে যাকাত আসবে না তার যোগফলকে বাদ দেয়া হলে যা অবশিষ্ট থাকবে তা যদি নেসাব পরিমাণ হয় তাহলে তার চল্লিশ ভাগের একভাগ যাকাত আদায় করতে হবে।
স্বর্ণের নেসাব হলো সাড়ে সাত ভরি। রূপার নেসাব হলো সাড়ে বায়ান্ন তোলা। আর অন্যান্য সকল সম্পদের নেসাব হলো সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বরাবর মূল্য। অর্থাৎ স্বর্ণ- রূপা বা অন্যান্য সম্পদ যদি এই পরিমাণ থাকে তাহলে তাতে যাকাত ওয়জিব হবে। এর চেয়ে কম থাকলে তাতে যাকাত ওয়জিব হবে না। কারো কাছে যদি স্বর্ণের সাথে সামান্য পরিমাণ রূপা বা নগদ অর্থ থাকে তাহলে সমস্ত সম্পদকে প্রথমে একত্রিত করতে হবে। অত:পর সমগ্র সম্পদ যদি সাড়ে বায়ান্ন তোলা রূপা বা তার বরাবর মূল্য পরিমাণ হয় তাহলেও তাতে যাকাত ওয়াজিব হবে।( রদ্দুল মুহতার,২/২৯৬)
যাদেরকে যাকাত দেয়া যাবে:
আল্লাহ তায়ালা বলেন: যাকাত হল কেবল ফকির, মিসকীন, তৎসংশ্লিষ্ট কর্মচারী ও যাদের চিত্ত আকর্ষণ প্রয়োজন তাদের হক এবং তা দাস-মুক্তির জন্যে, ঋণ গ্রস্থদের জন্য, আল্লাহর পথে (ব্যয় করার জন্যে) এবং মুসাফিরদের জন্যে। এই হল আল্লাহর নির্ধারিত বিধান। আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। {সূরা তাওবা-৬০}
মোট ৮ ধরণের ব্যক্তিকে যাকাত দেয়ার কথা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। যথা-
১- গরীব। যার সম্পদ আছে কিন্তু সে নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক নয়।
২- মিসকিন। অর্থাৎ এমন নি:স্ব ব্যাক্তি যার একদমই কোন সম্পদ নেই।
৩- ইসলামী রাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কোষাগারের জন্য শরীয়ত নির্ধারিত যাকাত উসুলকারী আমেল অর্থাৎ কর্মরত ব্যক্তি। এটা ইসলামী রাষ্ট্রপ্রধান দ্বারা নিযুক্ত হতে হবে। নিজে নিজে নিযুক্ত করে নিলে হবে না। {জাওয়াহিরুল ফিক্বহ-৬/৬৯}
৪-নব মুসলিমদের ইসলামের প্রতি মোহাব্বত বাড়ানোর জন্য উৎসাহমূলক যাকাত প্রদান। এ বিধানটি রহিত হয়ে গেছে। তাই বর্তমানে কোন ধনী নওমুসলিমকে যাকাত প্রদান করা জায়েজ নেই। {হিদায়া-১/১৮৪, তাফসীরে মাযহারী-৪/২৩৫ মাআরিফুল কুরআন-৪/১৭১, }
৫- দাসমুক্তির জন্য। যেহেতু বর্তমানে দাসপ্রথা নেই। তাই এ খাতটি বাকি নেই।
৬- ঋণগ্রস্থ। অর্থাৎ যার ঋণ পরিশোধের পর সে আর নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক থাকে না।
৭- ফী সাবিলিল্লাহ। তথা আল্লাহর রাস্তায় থাকা ব্যক্তিগণ।এরা হলো:জিহাদরত দরিদ্র মুজাহিদগণ, হজ্বের সফরে থাকা দারিদ্র ব্যক্তিগণ ও ইলমে দ্বীন অর্জনকারী দরিদ্র ব্যক্তিগণ। { হিদায়া-১/১৮৫, আদ দুররুল মুখতার-৩৪৩, রূহুল মাআনী-৬/৩১৩}। ৮- সফররত ব্যক্তি। যার টাকা পয়সা আছে বাড়িতে। কিন্তু সফর অবস্থায় অসহায়। তাকে যাকাতের টাকা দেয়া জায়েজ।
বিবিধ:
• ফুকাহায়ে কেরাম যাকাত আদায় হওয়ার জন্য দানকৃত ব্যক্তিকে ঐ টাকার মালিক বানিয়ে দেয়ার শর্ত করেছেন। সুতরাং টাকার মালিক না বানিয়ে কাউকে কেবল যাকাতের নিয়তে কোন বস্তু ভোগ দখলের অধিকার দিলে এর দ্বারা যাকাত আদায় হবে না।
• কারো নিকট আপনার অনাদায়ী পাওনা থাকলে তা কেটে দিলে এতে আপনার যাকাত আদায় হবে না। এক্ষেত্রে তাকে নগদ যাকাত দিয়ে তৎক্ষণাৎ তার কাছে আপনার পাওনা ঋণ তলব করতে পারেন। { তাবয়ীনুল হাকায়েক-১/২৯৯, ইনায়া -২/২৬৭-২৬৮ }
• যার উপর যাকাত ওয়াজিব তিনি তার উসুল এবং ফুরু তথা তার উপরের আত্মীয় যথা পিতা-দাদা, পর দাদা প্রমুখ, দাদি-দাদির মা ও পরদাদি প্রমুখ। মা-নানী প্রমুখ। সেই সাথে ফুরু তথা ছেলে-মেয়ে, নাতি-নাতি প্রমুখদেরকে যাকাত দিতে পারবেন না, এবং স্বামী- স্ত্রী একে অপরকে যাকাত দেয়া যাবে না। এছাড়া বাকি আত্মীয় স্বজনকে যাকাত দেয়া জায়েজ আছে, বরং দরিদ্র আত্নীয়-স্বজনকে যাকাত দেয়াই অধিক উত্তম। (বিনায়াহ,৩/৫৪৮-৫৫০)
• কোন অমুসলিমকে যাকাত দেওয়া যাবে না।
সদকাতুল ফিতর
1. যার উপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব:
ঈদুল ফিতরের দিন সুবহে সাদিকের সময় যে ব্যক্তি নিসাব পরিমাণ সম্পদের (সাড়ে সাত ভরি সোনা বা সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপা বা সমমূল্যের সম্পদের) মালিক থাকবে (ছোট হোক বা বড়) তার উপর সদকাতুল ফিতর আদায় করা ওয়াজিব। ( বাদায়েউস সানায়ে: ২/২০৬)
2. সদকাতুল ফিতর কি দিয়ে ও কি পরিমাণ আদায় করবে:
পাঁচটি জিনিসের কোন একটি দ্বারা সদকাতুল ফিতর আদায় করা যায়: যথা: ১.গম বা গমের আটা। ২.যব। ৩.পনির। ৪.খেজুর। ৫.কিসমিস। (সহীহ বুখারি, ১/ ২০৪-২০৫, সহীহ মুসলিম, ১/ ৩১৭-৩১৮, সুনানে নাসায়ী, ১/ ২৬৮-২৭০)।
গম দিয়ে আদায় করলে ১ কেজি ৬৫০ গ্রাম বা তার মূল্য আর বাকী ৪টি দিয়ে আদায় করলে ৩ কেজি ৩০০ গ্রাম বা তার মূল্য দিতে হবে। (সহীহ বুখারি, হাদিস নং : ১৫১২, রদ্দুল মুহতার,৩/৩১৭-৩১৮) প্রত্যেকে তার সামর্থ্য অনুযায়ী আদায় করবে। আল্লাহ যাকে বেশী সামর্থ্য দিয়েছেন সে শেষোক্ত চারটি বস্তু বা তার সমমূল্য আদায় করা উত্তম ও অধিক সাওয়াবের কাজ। এ নিয়মই ছিল নবী, সাহাবা-তাবেঈন ও তাবে তাবেঈনের স্বর্ণযুগে। (সহীহ বুখারী, ৩/১৮৮; সহীহ মুসলিম, ১/৬৯,)
3. কাদের পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর আদায় করতে হবে:
নিজের পক্ষ থেকে, নিজের নাবালেগ সন্তানের পক্ষ থেকে, ও বালেগ সন্তান যদি পাগল হয়ে যায় তাহলে তার পক্ষ থেকেও আদায় করা ওয়াজিব। ( রদ্দুল মুহতার,৩/৩১৪) সুস্থ বালেগ সন্তান, মাতা-পিতা ও স্ত্রীর পক্ষ থেকে আদায় করা ওয়াজিব নয়, মুস্তাহাব।( রদ্দুল মুহতার,৩/৩১৫, ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১/২২৮, )
• একটি ফিতরার পুরোটা একজন গরিবকে দেয়া উত্তম। অবশ্য এক ফিতরা কয়েকজনকে ভাগ করে দেয়াও জায়েজ আছে। (আল বাহরুর রায়েক: ২/৪৪৬)
• নাবালেগ সন্তানদের সম্পদ থাকলে বাবা তাদের সম্পদ থেকেও সদকাতুল ফিতর আদায় করতে পারবেন। (মারাকিল ফালাহ: ৩৯৪; ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ১/১৯২)
• যাকাতের হকদার যারা তারাই সদকাতুল ফিতরের হকদার। (সূরা তাওবা, আয়াত-৬০)
• ফিতরা নগদ টাকা দিয়ে আদায় করা অধিক উত্তম।(রদ্দুল মুহতার,৩/৩২১-৩২২ )
কোন মন্তব্য নেই