নবীজির সালাতে রফয়ে ইয়াদাঈনঃ আমরা কোন পথে৷
নামাজে রফয়ে ইয়াদাঈন কেন করি না!
(দলিলভিত্তিক একটি পর্যালোচনা)তামজীদুল মাওলা কাসেমি
আজ থেকে চৌদ্দশ বছর পূর্বেই ইসলাম পূর্ণতায় পৌঁছেছে৷ এখানে কোন জিনিসের সংযোজন বিয়োজনের মোটেও সুযোগ নেই৷ তবে যুগে যুগে দ্বীন ইসলামকে হেফাজত করার জন্য আল্লাহ তায়ালা এ দুনিয়াকে আবাদ করার জন্যও কিছু প্রিয় মানুষকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন৷
মনে রাখতে হবে সর্বকালের জন্যই কোরআন সুন্নাহ উম্মতের হেদায়াতের জন্য যথেষ্ট৷ তবে তার রুপ রেখায় ভিন্নতা আসতে পারে৷ উদাহরণ স্বরুপ ইসলামের শুরু যমানায় সাহাবায়ে কেরাম দ্বীনী বিষয়ক সমাধান সরাসরি হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের খেদমতে হাজির হয়ে সমাধান করতেন৷ পরবর্তিতে সাহাবা যুগেও কিবারে সাহাবা রাযিঃ ছিগারে সাহাবাদেরকে দ্বীনের ধারক বাহক বানিয়ে ছিলেন৷ এভাবে একে অপরকে দ্বীনের তা'লীম দিয়ে দ্বীনকে হেফাজত করেছেন৷ তখন আর লিখিত আকারে কোরআন সুন্নাহ সংরক্ষিত ছিলো না৷ বরং ইসলামের শুরু যামানায় কোরআন ও হাদীস মানুষ মুখস্থ করেই হেফাজত করেছিলো৷
পরবর্তিতে তা বই আঁকারে পুস্তক রচনা হয়৷ তাই শরীয়তের সমস্ত বিষয়াদির সমাধান যুগে যুগে দ্বীনের ধারক বাহকরা করে গেছেন৷ এবং সমস্ত বাতিল ফেরকার সমুচিত জবাবও দিয়েছেন৷ দ্বীনের ভিতরে এমন কোন মাসআলা নেই যার সমাধান নেই৷ এমনকি মুজতাহিদীনে কেরামও সমস্ত মাসআলার সমাধান দিয়ে বিশাল বিশাল কিতাব রচনা করে গিয়েছেন৷
হযরতুল উসতায পালনপুরী দাঃ বাঃ বলেন ইজতেহাদ হলো একটি দরজার মত৷ যার দুটি পার্ট৷ তার মধ্যে এক পার্ট বন্দ হয়ে আছে আরেকটি এখনো খোলা আছে৷ আর তা হলো নতুন কোন মাসআলা উম্মতের সামনে আসলে সেখানে কোরআন সুন্নাহ কে সামনে রেখে ইজতেহাদ করার অনুমতি আছে৷
সমাধান কৃত কোন মাসআলাকে নতুন করে রিসার্চ করার কোন দরকার নেই৷ কারণ নতুন করে করতে গেলে আরেক ফেরকা সৃষ্টি হবে৷ হযরত বলেন যে কোন ব্যক্তি যে কোন মতবাদ কয়েম করুক না কেন কিছু কিছু লোক তাঁর অনুসারী হবেই৷ যদি তােমাদের বিশ্বাস না হয় তাহলে একটু থুতু ফেলে কতক্ষণ তাকিয়ে থাক একটু পরে দেখবা পেছনে তোমাকে যারা দেখছে তারাও এক জন একজন করে ঐ থুতু দেখবে৷ এটাই বাস্তব অবস্থা৷ তাই নতুন করে সামাধান কৃত মাসআলায় ইজতেহাদের প্রয়োজন নেই৷
সব মাসআলার সমাধানই আমাদের আকাবিরররা কোরআন সুন্নাহ থেকে সামাধান বের করে গেছেন৷ ঘটনা চক্রে কোন কোন মাসআলা আমাদের সামনে নতুন করে আলোচ্য হয়ে উঠে৷ না হয় তার সমাধান আগ থেকেই দেয়া আছে৷ তেমনই একটি মাসআলা রফয়ে ইয়াদাইন৷ তদ্রুপ আমীন বিল জিহর এবং ক্বেরাত খলফাল ইমাম ইত্যাদি৷ অাজকে رفع يدين (রফয়ে ইয়াদাঈন) নিয়ে আলোচনা করবো৷ ইনশাআল্লাহ
দেখুন! رفع يدين আরবী বাক্য৷ যার অর্থ হলো উভয় হাত উঠানো৷ অর্থাৎ উভয় হাত নামাজে কান পর্যন্ত উঠানো৷ যদিও আরবী, কিন্তু এটা এখন সকলের মুখেই বেশ শুনা যায়৷ মনে হয় পরিচিত শব্দ৷ কি সাধারণ কি শিক্ষিত কি অশিক্ষিত সকলের কাছেই বহুল প্রচলিত পরিচিত শব্দ৷ যদিও সঠিক উচ্চারণ অনেকেই করতে পারে না! ইসলামি শরীয়তে নামাজে এই আমলের বিধান কি তা আলোচনায় আসা দরকার৷ কারণ দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি কোন দিনও কাম্য নয়৷
বর্তমানে তথাকথিত কিছু লা-মাযহাবী ভাইয়েরা এ বিষয়ে খুব বাড়াবাড়ি করে থাকে৷ অথচ উভয় ধরনের ই হাদীস এবং সাহাবীদের আমল পাওয়া যায়৷ হযরতুল উস্তায বলেন "ইয়েহ ভী হামারে হুযুর কী হাদীস ইয়েহ ভি হামারে হুজুর কী হাদীস"৷ উভয় ধরনের রেওয়াত কে সামনে রেখে মাসআলার মূল সমাধান বের করতে সহজ হবে৷ এক সাথে তো উভয় আমল করা যাবে না৷ একটা করতে হবে আরেকটা অবশ্যই ছাড়তে হবে৷
নামাজে رفع يدين কতবার হবে এ ব্যাপারে হাদীস কি বলে৷ জানা উচিত নামাজে ভিবিন্ন সময় কান পর্যন্ত হাত উঠানোর ব্যাপারে ভিবিন্ন ধরনের বর্ণনা পাওয়া যায়৷
১৷ ইমাম মালেক রহঃ এর কিতাব المدونة الكبرى (আল মুদাওয়্যানাতুল কুবরা) প্রথম খন্ডে ৭১নং পৃষ্ঠায় এক হাদীস বয়ান করেন যেখানে শুধু তাকবীরে তাহরীমার সময় رفع يدين কথা আছে৷
২৷ ইমাম মালেক রহঃ এর রতিত কিতাব 'মুয়াত্তা মালেকে'র মধ্যে আছে শুধু দুই জায়গায় নামাজে হাত উঠাইবে৷ এক: তাকবীরে তাহরীমার সময়৷ দুই: রুকুতে যাওয়ার সময়৷
৩৷ ইমাম বোখারী রহঃ তাঁর সহিহ বোখারী শরীফের ৭৩৫ নং হাদীসে বলেন তিনবার হাত উঠাবে৷ তৃতীয় স্থান হলো রুকু থেকে উঠে৷
৪৷ বোখারী শরীফের ৭৩৯ নং হাদীসে বলা হয়েছে চার বার হাত উঠাবে৷ চতুর্থ স্থান হলো: তৃতীয় রাকাতে যাওয়ার সময়৷
৫৷ ইমাম বুখারীর কিতাব جزءرفع اليدين সেখানে এক হাদীসে আছে৷ পাঁছ বার হাত উঠাবে পঞ্চম স্থান হলো: সিজদাতে যাওয়ার সময়৷
৬৷ ইমাম ত্বহাবী রহঃ এর রচিত কিতাব بيان مشكل الأثار (বয়ানু মুশকিলিল আছার) সেখানে এক হাদীস উল্লেখ করছেন যেখানে বলা হয়েছে প্রত্যেক হরকতেই উঠা বসায় হাত উঠাবে৷
(في كل رفع وخفض)এই হলো কোন কোন জায়গায় হাত উঠাবে তার স্থান সমূহের বর্ণিত হাদীস সমূহ৷ বাকি উম্মতের মাঝে সবগুলোর আমল সাবিত নাই৷ তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উঠানো সর্ব সম্মতিক্রমে সুন্নত এ ব্যাপারে কারো কোন দ্বিমত নেই৷
এখতেলাফ তথা দ্বিমত হলো শুধু রুকুতে যাওয়া ও রুকু থেকে উঠে হাত উঠানো নিয়ে৷ দুই ইমাম ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদ রহঃ বলেন এখানেও হাত উঠানো সুন্নত৷ শাফেয়ী মুকাল্লিদরা চতুর্থ আরেকটা বাড়িয়ে বলে: তৃতীয় রাকাতে যাওয়ার পূর্বেও হাত উঠানো সুন্নত৷ যেমনটি ইমাম বুখারী রহ.র মাযহাব৷ মাযহাবের বড় দুই ইমাম ইমাম আবু হানীফা রহঃ ও ইমাম মালেক বলেন এখানে হাত না উঠানো সুন্নত বরং উঠানো মাকরুহ৷ এবার দালিলিক আলোচনায় আসি৷
প্রথমে رفع يدين এর হাদীস নিয়েই আলোচনা করা হোক৷
আল্লামা ইরাকী রহ.র দাবি হল: رفع يدين এর ব্যাপারে পঞ্চাশটি রেওয়াত বর্ণিত আছে৷ কিন্তু আল্লামা শাওক্বানী রহ. বলেন এ দাবি সহিহ না বরং رفع يدين সাবিত হয় এমন বিশটি বর্ণনা দ্বারা৷ পরবর্তিতে ইমুমু আছর ইবনে হাজরে হিন্দ আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহঃ তাহকিক করে বলেন পনেরটি রেওয়াত দ্বারা শুধু رفع يدين তথা রুকুর আগে পরে হাত উঠানোর ব্যাপারে দলিল দেয়া যায়৷ এর পরে মুহাক্কিকীন ওলামায়ে কেরাম আরো তাহকীক করে দেখলেন মাত্র সাতটি রেওয়াত এমন আছে যেগুলো দ্বারা এস্তেদলাল করা সহিহ৷ বাকি রেওয়াত দ্বারা ইস্তেদলাল সহিহ না৷
সব গুলো রেওয়াতের মূল হলো হযরত ইবনে ওমর রাযিঃ এর হাদীস৷ আর এটা হলো أصح ما في هذا الباب এটাই হলো এ ক্ষেত্রে চেয়ারম্যান৷ তবে হাদীস টা মারফু' হাদীস নাকি মাওকুফ তা নিয়ে ইখতেলাফও রয়েছে৷
যাই হোক সব আপত্তির জবাব দিয়ে বলা যেতে পারে দিন শেষে বলতে হবে হাদীস ছহিহ৷ এবং দলিলযোগ্য রেওয়াত৷
এখন কথা হলো, তাহলে বড় দুই ইমাম কেন এই পথ অবলম্বন না করে ভিন্ন মত পোষণ করে বলেন নামাজে হাত উঠানো সুন্নত না বরং হাত উঠানো মাকরুহ৷
তার জবাব, আল ইকদুুল ফারায়েদ নামক কিতাবে ইমাম শাফেয়ী ও ইমাম আহমদকে আহলুল হাদীস বলা হয়েছে৷ আর ইমাম আবু হানিফা এবং ইমাম মালেক রহঃ কে আহলুর রায় বলা হয়েছে৷ বলা বাহুল্য, ঐ যমানায় মুজতাহিদ ইমামদের কে "আহলুররায়" বলা হত৷ তাই ইমাম শাফেয়ি আহমদ রহঃ যেহেতু সবচেয়ে اصح হাদীস পেয়েছেন তাই তাঁরা অন্য দিকে না তাকিয়ে চিন্তা ফিকর ছাড়া সেটাই তাদের মাযহাব বানিয়েছেন৷
অপরদিকে ইমাম আবু হানীফা ও ইমাম মালিক ছিলেন ফক্বীহ মুজতাহিদ ইমাম তাই তিনি হাদীস নিয়ে গবেষনা করে দেখেন৷ এবং শুধু সহিহ হাদীসকে মাযহাব বানাননি বরং সব রেওয়াতকে সামনে রেখে সমাধান বের করতে চেষ্টা করেছেন৷
অন্য দিকে ইমাম মালিক রহঃ ছিলেন মদীনায় সেখানের মানুষ কেউ নামাজে রফয়ে ইয়াদাঈন করত আবার কেউ করত না৷ তিনি কিভাবে নতুন করে বলে দেন রফয়ে ইয়াদাঈন সুন্নত! তাই তিনি রফয়ে ইয়াদাঈনের প্রবক্তা নন৷
ইমাম আবু হানিফা রহঃ ছিলেন কুফায়৷ ঐ সময় যেখানে প্রায় পাঁচশত সাহাবীর রা. বসবাস ছিলো৷ সেখানে কেউই রফয়ে ইয়াদাঈন করত না৷ তাই তার মাযহাব হলো নামাজে রফয়ে ইয়াদাঈন না করাই সুন্নত৷
অপরদিকে "মুছান্নিফ ইবনে আবী শাইবা"তে সহিহ সনদে বর্ণিত আছে খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আবু বকর ও ওমর রাযিঃ নামাজে রফয়ে ইয়াদাঈন করতেন না৷ হযরত আলী উসমান রাযিঃও রফয়ে ইয়াদাঈন করতেন না৷
অন্যদিকে ইমাম শাফেয়ী রহঃ আহমদ ছিলো বাগদাদে তাই তাঁরা দেখলো সেখানের মানুষ রফয়ে ইয়াদাঈন করে৷ তাই তাঁদের তাদের মাযহাবও গ্রহণ করেছেন রফয়ে ইয়াদাঈন সুন্নত হওয়াকে৷
মাদ্দা কথা হলো: উভয় ধরনের আমলই (تعامل) তায়ামুল দ্বারা সাবিত৷ তথা উভয় ধরণের আমলই তাবেয়ী যুগ পর্যন্ত উম্মাহর আমলে ছিলো৷ আর তায়ামুল হলো ইজমা পর্যায়ের মত মজবুত দলিল৷ তাই কোনটাকেই ইনকার বা অস্বীকার করার বিন্দুমাত্র সুযোগ নেই৷
এবার আসি رفع يدين না করার পক্ষে দলিল ভিত্তক আলোচনায়৷
ইমাম আবু হানীফা ও মালেক রহঃ দলিল হলো: এ ব্যাপারে সরাসরি পাঁছটি হাদিস পাওয়া যায়৷ যা উংনাদের স্বপক্ষের দলিল৷ এ কথা সর্বজন স্বীকৃত বিষয় যে, দলিল অধিক হওয়ার চেয়ে দলিল মজবুত ও শক্তিশালি হওয়া বেশি গ্রহনযোগ্যের দাবী রাখে৷
তাই এবার কোরআন সুন্নাহ থেকে দলিল বুঝি৷ উক্ত দুই হযরত বলেন নামাজে হরকত তথা রফয়ে ইয়াদাঈন ইসলামের শুরু যমানায় ছিলো৷ পরে তা রহিত হয়ে যায়৷ আর শরীয়তের মেযাজ হলো যদি কোন জিনিস হালাল থেকে হারাম হয় তখন তার নোটিফেকেশনে নতুন এ'লান আসে৷ যেমন মদ্য পানের হুকুম ইত্যাদি৷ আর যদি কোন হুকুমের ক্ষেত্রে উত্তম থেকে অতি উত্তম হয় তাহলে তার নোটিফিকেশনে এলান আসে না৷ এমনিতে ধীরে ধীরে সাহাবীদের মাঝে তার পরিবর্তন এসে যায়৷ যেমন তাহবীলে কিবলার বিধান ইত্যাদি৷ অনুরুপ নামাজের ভিবিন্ন আহকামও তেমনি৷
তার মধ্যে রফয়ে ইয়াদাঈনও একটি মাসআলা৷ বাকি তাবেয়ীদের যমানায় কিছু ছিগারে সাহাবী রফয়ে ইয়াদাঈন করত ঠিক৷ তবে এর হেকমত ছিলো হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমলকে হেফাজত করা৷ কারণ তখনকার সময় লিখিত আঁকারে কিতাব সংরক্ষণ ছিলো না৷ তাই তারা আমল করে তা উম্মাহর মাঝে জারী রেখেছেন৷
এখন দলিল হলো৷ সবাই জানে রফয়ে ইয়াদাঈন হলো হরকত তথা নড়চড়া৷ এর জন্য দলিল দেয়ার প্রয়োজন নেই৷ কারণ এটা বদহী ও স্পষ্ট বিষয়৷ আর নামাজে হরকত তথা নড়াচড়া উচিত না বরং পরিহার যোগ্য কাজ৷ এর দলিল হলো৷ সুনানে আবু দাউদের হাদীস৷ ইসলামের শুরু যমানায় নামাজ শেষ করার সময় সালাম বলার সাথে সাথে হাতও কপাল পর্যন্ত উঠানো হতো৷ একদিন হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ অবস্থা দেখে বললেন:
ما لي اراكم ترفعون ايديكم كاذناب خيل شمس، اسكنوا في صلاتكم
অর্থ: কি হলো! আমি তোমাদেরকে অবাধ্য ঘোড়ার লেজের মত হাত উঠাতে দেখি যে(!) তোমরা নামাদে স্থীরতা অবলম্বন করো৷
অন্য হাদীসে আছে: হুজুর সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন:
صلاة الليل مثنى مثنى تمسكن وتضرع وقال يا ربي يا ربي..
তাই বুঝা যায় নামাজে নড়চড়া পরিহার যোগ্য৷ তাই পরবর্তিতে রফয়ে ইয়াদাঈন নামাজের ভিতর থেকে ধীরে ধীরে রহিত হয়ে যায়৷ শুধু তাকবীরে তাহরীমার সময় হাত উঠানোর বিধান বাকি থাকে৷ যা মূলত নামাজের বাহিরের আমল৷
দ্বিতীয়ত: খুলাফায়ে আরবায়া তথা খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত আবু বকর ওমর উসমান আলী রাঃ কেউই রফয়ে ইয়াদাঈন করেননি৷
তৃতীয়ত: হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাযিঃ এর থেকে বর্ণিত রেওয়াত৷ তিনি তাঁর ছাত্রদেরকে বলেন: আমি কি তোমাদের কে রাসুলের সা. সালাত দেখাব?
সবাই বললেন জ্বি হ্যাঁ অবশ্যই! তখন তিনি নামাজ পড়েন অার নামাজকে রফয়ে ইয়াদাঈন মুক্ত করেন৷ আর শেষে বললেন:
هذاصلاة رسول الله
এটাই ছিলো রাসুলের সালাত৷ তাছাড়া এ রেওয়াত গুলো ছাড়াও বাবু সিফাতুছ সালাতের অনেক বর্ণনা এমন আছে যেখানে রফয়ে ইয়াদাঈনের কথা নেই৷ তাই ফিক্বহে হানাফী মতে রফয়ে ইয়াদাঈন করা সুন্নত নয়৷
কোন মন্তব্য নেই