মু'মিনের সম্মান রক্ষায় ইসলামের ভূমিকা৷
মু'মিনের সম্মান রক্ষায় ইসলামের ভূমিকা.
ইসলাম ইজ দ্যা কমপ্লিট কোড অব লাইফ৷ সেন্টেন্সটি মক্তব থেকেই ভিতরে জায়গা করে আছে৷ নূরানী (প্রাইমারী) পড়ার বরকত বা কৃতিত্বই বলতে হবে৷ হয়ত তখন মূলতত্ব সুবোধ হয়নি৷ এক কথায় পূর্ণাঙ্গতার শীর্ষ চূঁড়ায় ইসলাম৷ ইসলামী জীবন ব্যবস্থা এবং সৌন্দর্য্য ও বিশেষত্বের কাছে সমস্ত বাম ও মানব রচিত থিউরি অবনত শীর হয়ে আছে৷ ইসলামের দেয়া চ্যালেঞ্জ আজও কেউ গ্রহণ করতে পারেনি পারবেও না৷ ইনশাআল্লাহ৷ ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্টের অন্যতম একটি হলো৷ "মানুষের সম্মান রক্ষা করতে জানে ইসলাম৷ গুণীজনের সম্মান দিতে জানে ধর্ম৷ বিনা কারণে কারো ইজ্জত নাশ সম্মানে আঘাত অন্যায়ভাবে কারো মানহানী হোক ইসলাম তা কোন কালেই পছন্দ করে নি৷
ইজ্জতের গ্যারান্টি দিতে গিয়ে শরীয়ত গীবতকে করেছে হারাম৷ শুধু হারাম ই করে নাই বরং الغيبة أشد من الزنا বলে সর্বনিকৃষ্ট গর্হিত কাজ যিনার থেকেও মারাত্মক ঘোষণা দিয়েছে৷ এতটাই নিম্ম পর্যায়ের যে "গীবত" আপন মায়ের সাথে ব্যাভিচারের মত ফাহিশার সমতুল্য! কোরআন তো এ কথাও বলে যে:
﴿يا أَيُّهَا الَّذينَ آمَنُوا اجتَنِبوا كَثيرًا مِنَ الظَّنِّ إِنَّ بَعضَ الظَّنِّ إِثمٌ وَلا تَجَسَّسوا وَلا يَغتَب بَعضُكُم بَعضًا أَيُحِبُّ أَحَدُكُم أَن يَأكُلَ لَحمَ أَخيهِ مَيتًا فَكَرِهتُموهُ وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ تَوّابٌ رَحيمٌ﴾
গীবত মৃত ভাইয়ের গোস্ত বক্ষণ সমতুল্য৷
গীবত মৃত ভাইয়ের গোস্ত বক্ষণ সমতুল্য৷
কিযব ও মিথ্যাকে চিরতরে হারাম করে তোহমত ও অপবাদের দরজা বন্ধ করেছে ইসলাম৷ সাথে তার হদ তথা দন্ডবিধিও প্রণয়ন করেছে শরীয়ত৷ একজন মুমিনের ইজ্জতের গুরুত্ব কতটুকুই যে, বিদায় হজ্জের ভাষণে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছেন:
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ النَّحْرِ، فَقَالَ : " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَيُّ يَوْمٍ هَذَا ؟ " قَالُوا : يَوْمٌ حَرَامٌ. قَالَ : " فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا ؟ ". قَالُوا : بَلَدٌ حَرَامٌ. قَالَ : " فَأَيُّ شَهْرٍ هَذَا ؟ " قَالُوا : شَهْرٌ حَرَامٌ. قَالَ : " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ،كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا
তথা মানুষের জান মাল ও ইজ্জত সম্মান অন্যায়ভাবে খর্ব করাকে হারাম করেছে যে ধর্ম সেটাই হলো ইসলাম (বোখারী)
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ خَطَبَ النَّاسَ يَوْمَ النَّحْرِ، فَقَالَ : " يَا أَيُّهَا النَّاسُ، أَيُّ يَوْمٍ هَذَا ؟ " قَالُوا : يَوْمٌ حَرَامٌ. قَالَ : " فَأَيُّ بَلَدٍ هَذَا ؟ ". قَالُوا : بَلَدٌ حَرَامٌ. قَالَ : " فَأَيُّ شَهْرٍ هَذَا ؟ " قَالُوا : شَهْرٌ حَرَامٌ. قَالَ : " فَإِنَّ دِمَاءَكُمْ، وَأَمْوَالَكُمْ، وَأَعْرَاضَكُمْ عَلَيْكُمْ حَرَامٌ،كَحُرْمَةِ يَوْمِكُمْ هَذَا، فِي بَلَدِكُمْ هَذَا، فِي شَهْرِكُمْ هَذَا
তথা মানুষের জান মাল ও ইজ্জত সম্মান অন্যায়ভাবে খর্ব করাকে হারাম করেছে যে ধর্ম সেটাই হলো ইসলাম (বোখারী)
শুধু এতটুকুই শেষ নয়৷ বরং একজন মু'মিনের ইজ্জত রক্ষায় স্বয়ং খোদা (জাল্ল যিকরুহ) নিজেই জিব্রিল (আঃ) পাঠিয়ে মু'মিনের ইজ্জত রক্ষা করছেন৷ উদাহরণ স্বরুপ কেবল দুটি দৃষ্টান্ত পেশ করি৷
এক.
উম্মাহাতুল মু'মিনীন নবীর প্রিয় স্ত্রী হযরত আয়েশা রা. কে মালাউন মুনাফিক সরদার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই ইবনে সালুল যখন যিনার অপবাদ দিল৷ সে মুহূর্তে…
গজওয়ায়ে বনী মুস্তালিক থেকে আসার পথে যাত্রাবিরতি সময়ে যিনার অপবাদ দেয় সে মুনাফিক৷ মুসলমানদের কাছে স্পষ্ট বাহ্যিক কোন প্রমান মওজুদ না থাকায় জোর গলায় তথাকথিত মুনাফিক পূরো মদীনায় তা ছড়িয়ে দেয়৷ সে ভেবেছিলো সে সফলও হয়ছে৷
মুনাফিকের সামনে সফওয়ান ইবনে মুয়াত্তাল রা. এর হলফ সহ তার অস্বীকারক্তি তেমন কোন ফলাফল দিচ্ছে না৷ অপরদিকে রাসুল সাঃও পেরেশান হাল৷ তিনিও তো আলিমুল গায়েব নন৷ মোটামুটি আয়েশা রা.এর প্রতি ক্ষেপা ও ক্রোধান্বিত৷ আগের মতো হাল চাল নাই দাম্পত্তের জীবনে৷ স্বাভাবিকই৷ আত্মবোধপূর্ণ মানুষের যে অবস্থা হয় তা ই হলো৷
আয়েশা রা.ও মিথ্যা অপবাদে লজ্জায় মাথানত৷ চলাফেরায় আমূল পরিবর্তন৷ খায় না ঘুমায় না আগের মত৷ সবাই যখন তাঁর বিরুদ্ধে! না বাপ পক্ষে না স্বামী না কোন ভাই৷ কেউই এখন তাঁর না৷ বৎসনা আর তিরস্কার নিয়ে জীবন চলা৷ প্রভুর দরবারে রোনাজলই তাঁর একমাত্র পথের সম্বল৷ দিন যায় আয়েশারও (রা.) দূঃখ বেড়ে চলছে৷ মুক্তির পথ না পেয়ে ভেঙে পড়ছেন ধীরে ধীরে তিনি৷
আসমানের নিচে জমিনের উপরে তাঁর পক্ষে বলার মত বলতে গেলে কেউ নাই৷ নিজের সততার পক্ষে সাক্ষ্য দেয়ার মতো মানুষ নেই৷ কিন্তু আল্লাহ একজন তো মূবীন৷ তিনিই সব কিছুর হাকিকত স্পষ্টকারী৷ মাজলুমের আশ্রয়দাতা৷ দেরী না করে জিব্রিলে আমীনকে পাঠিয়ে সত্যের উন্মোচণ করে দিলেন৷ মুনাফিকদের মূখে চুনকালি মেখে বাস্তবতার উদঘাটন করেন৷ চির জীবনের জন্য আয়েশা রা. এর বারাআত ও সততার স্বাক্ষর দিলেন স্বয়ং প্রভু নিজেই৷
অপরদিকে মুনাফিকদের করে দিলেন আজীবনের জন্য লাঞ্চিত অপমানিত৷ রসওয়ার সিল মেরে দিলেন তাদের ভাগ্য ললাটে৷ আর কোরআনেও দীর্ঘ একটা রুকু নাযিল করে ইরশাদ করে দিলেন:
﴿إِذ تَلَقَّونَهُ بِأَلسِنَتِكُم وَتَقولونَ بِأَفواهِكُم ما لَيسَ لَكُم بِهِ عِلمٌ وَتَحسَبونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِندَ اللَّهِ عَظيمٌ…
তোমরা যেটাকে যত সহজ মনে কর বিষয়টা তত সহজ না৷
এভাবে আল্লাহ একজন মুমিনের ইজ্জত রক্ষা করছেন৷
﴿إِذ تَلَقَّونَهُ بِأَلسِنَتِكُم وَتَقولونَ بِأَفواهِكُم ما لَيسَ لَكُم بِهِ عِلمٌ وَتَحسَبونَهُ هَيِّنًا وَهُوَ عِندَ اللَّهِ عَظيمٌ…
তোমরা যেটাকে যত সহজ মনে কর বিষয়টা তত সহজ না৷
এভাবে আল্লাহ একজন মুমিনের ইজ্জত রক্ষা করছেন৷
দুই.
চতুর্থ কিংবা পঞ্চম হিজরির কথা৷ গজওয়ায়ে মুরাইসি'র ময়দানের ঘটনা৷ আনসার মুহাজির দুই সাহাবীর সামান্য কথা কাটাকাটি৷ এক পর্যায়ে রাগের বশীভুত হয়ে পানির ঘাটে অজ্ঞাত মুহাজির সাহাবী আনসারী (রা.)কে পদাঘাত করেন৷ (সম্ভবত ইবনে ওয়াবরা রা.কে)
তখন জাহিলী যুগের প্রথা অনুযায়ী মুহাজির সাহাবী মুহাজিরদের কে তার মদদ করতে ডাকে৷ অনুরুপ আনসারী সাহাবী আনসারীদের কে৷ কিন্তু তখনই হুজুর সা. উভয় পক্ষকেই ডাটাইলেন৷ এবং বললেন এ সমস্ত শ্লোগান জাহিলী প্রথা তা বর্জন কর৷ ঘটনা মিটমাট৷ তৎক্ষনাৎ সবকিছুর সমাধান হয়ে গেল৷
অপরদিকে সুযোগ সন্ধ্যানী মুনাফিক ইবনে উবাই উস্কানীমূলক বক্তব্য দিয়েই চলছে অবিরত৷ মুহাজিরদের বিপক্ষে আনসারদেরকে ক্ষেপাতে লাগল একে একে৷ তাঁদেরকে প্রতিশোধের প্রতি প্রলুব্ধ করতে থাকে ধীরে ধীরে৷ প্রথমে তো বলে উঠলো: سمن كلبك يأكلك অর্থাৎ যে কুকুরকে খাইয়ে দাইয়ে মোটা করলে তা ই তোমাদেরকে খাবে৷ তথা নিজের পোষা কুকুরই একদিন মালিকের ঘাড় চেপে বসবে৷(!)
মুনাফিক বুঝাতে চাইলো মুহাজিররা হলো কুকুর আর আনসাররা হলো মালিক৷ (আল আয়ায বিল্লাহ)
দ্বিতীয়তে আনসারদের কাছে বলে বেড়াতে লাগলো: এবার মদীনাতে গিয়ে এ সমস্ত কমিনা নির্বাসিত মুহাজিরদের কে সম্মানিত লোকদেরকে থেকে বের করে দিবে৷ মানি হলো মুহাজিররা হলো যলিল ও কমিনা শ্রেনীর লোক৷(নাঊযুবিল্লাহ)
দ্বিতীয়তে আনসারদের কাছে বলে বেড়াতে লাগলো: এবার মদীনাতে গিয়ে এ সমস্ত কমিনা নির্বাসিত মুহাজিরদের কে সম্মানিত লোকদেরকে থেকে বের করে দিবে৷ মানি হলো মুহাজিররা হলো যলিল ও কমিনা শ্রেনীর লোক৷(নাঊযুবিল্লাহ)
অন্যদিকে তার এ খবর ছড়াছড়ি ও মিথ্যা প্ল্যান প্রোগ্রাম সাহাবী যায়েদ ইবনে আরকাম রা. শুনে ফেলেন৷ তিনি শুনে তাঁর চাচার কাছে বলেন৷ তাঁর চাচা গিয়ে মুনাফিকের এ খবর হুজুরের কানে পৌঁছিয়ে দেয়৷ তৎক্ষনাৎ হুজুর সা. ঘটনা তদন্তের জন্য আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইকে ডাকলেন৷ ঘটনা কি সত্য বা তার বক্তব্য কি সঠিক জানতে চাইলে সঙ্গে সঙ্গে তার আসল চরিত্রের পর্দা খুলে৷ মুনাফিক তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করে বসে৷ বরং হলফ ইত্যাদিও করে ফেলে! রাসুল সা. সামনে সে মিথ্যা বলে পূরাই সূফী সেজে গেল! মুনাফিক তো মুনাফিকই৷ কি আর আশা করা যায়!
অপরদিকে মিথ্যা অপবাদ চাপাতে লাগলো সাহাবী যায়েদ রা. এর উপর৷ এখন সবাই তাঁকে শাসাতে থাকে৷ ধমকি হুমকি খেয়ে তিনি এখন নিশ্চুপ৷ সত্যবাদী হয়েও কখনো সাময়িক বিপদ আসে তার জ্বলন্ত প্রমান এখন তিনি৷ তবে জানা কথা, সত্যের ঝপরিণাম খুবই ভালো
থাকে৷ জু ভি হো…
থাকে৷ জু ভি হো…
কিন্তু আল্লাহ মিয়াঁ! যিনি মাজলুমের মদদগার৷ জালিমের প্রতিশোধ বরণকারী৷ যিনি সবকিছু করতে পারলেও জুলুম করতে জানে না৷ জুলুম তাঁর সিফাতে নেই৷ বিলকুল নেই৷ কারো জন্যই নয়৷ সাহাবী যায়েদ ইবনে আরকাম রা. এর ইজ্জত রক্ষায় তিনি জিব্রিল অাঃ কে পাঠিয়ে সূরায়ে মুনাফিকুন নামে একটা সূরা নাযিল করে সত্যকে দিবালোকের ন্যায় স্পষ্ট করে তোলেন৷ আর ঘোষণা দিলেন তাদের কথা:
﴿يَقولونَ لَئِن رَجَعنا إِلَى المَدينَةِ لَيُخرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنهَا الأَذَلَّ وَلِلَّهِ العِزَّةُ وَلِرَسولِهِ وَلِلمُؤمِنينَ وَلكِنَّ المُنافِقينَ لا يَعلَمونَ﴾
﴿يَقولونَ لَئِن رَجَعنا إِلَى المَدينَةِ لَيُخرِجَنَّ الأَعَزُّ مِنهَا الأَذَلَّ وَلِلَّهِ العِزَّةُ وَلِرَسولِهِ وَلِلمُؤمِنينَ وَلكِنَّ المُنافِقينَ لا يَعلَمونَ﴾
আর যায়েদ রা.এর সততার প্রমান করে দিলেন তিনি৷ উক্ত সূরায়ে তিনি ই'তেকাদী নিফাক ও আমলী নিফাকের আলোচনা করেন৷ এবং মুনাফিকদের অমার্জনীয় অপরাধ ক্ষমা করার মতো নয় তাও জানিয়ে দিলেন:
﴿سَواءٌ عَلَيهِم أَستَغفَرتَ لَهُم أَم لَم تَستَغفِر لَهُم لَن يَغفِرَ اللَّهُ لَهُم إِنَّ اللَّهَ لا يَهدِي القَومَ الفاسِقينَ﴾
মুনাফিকদেরকে আল্লাহ মাফ করবেন না৷ এভাবে তিনি আল্লাহ একজন মুমিনের ইজ্জত রক্ষা করছেন৷
আফছোছ! নুযুলে কোরআনের যমানা বর্তমানেও যদি থাকতো আমাদের মধ্যে কতজনেরই না সম্পর্কে কোরআন নাযিল হতো! আজ অামরা ভাই ভাইয়ের ইজ্জত নষ্ট করি৷ খোজ করলে দেখা যাবে এর পেছনে হিংসাত্বক মনোভাব ছাড়া কিছুই নেই৷ কেন আমরা অন্যের ভালাই দেখতে পারবো না! কেন আমাদের এত নিচু ও হীন চিন্তা হবে৷ শরীয়ত তো আমাদের জন্য হিংসার পরিবর্তে রিশ্ক তথা ঈর্ষার অনুমতি দিয়েছে৷ ভালো কাজের প্রতিযোগিতার প্রতি তো ইসলাম তো আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে৷ তাহলে কেন আমরা অন্যের সম্মানে আঘাত করতে যাবো! কারো স্পষ্ট গোমরাহী ভ্রষ্টতা না পেলে কেন আমরা তার পিছে পড়বো! তাকে নিয়ে সমালোচনা করবো!
﴿سَواءٌ عَلَيهِم أَستَغفَرتَ لَهُم أَم لَم تَستَغفِر لَهُم لَن يَغفِرَ اللَّهُ لَهُم إِنَّ اللَّهَ لا يَهدِي القَومَ الفاسِقينَ﴾
মুনাফিকদেরকে আল্লাহ মাফ করবেন না৷ এভাবে তিনি আল্লাহ একজন মুমিনের ইজ্জত রক্ষা করছেন৷
আফছোছ! নুযুলে কোরআনের যমানা বর্তমানেও যদি থাকতো আমাদের মধ্যে কতজনেরই না সম্পর্কে কোরআন নাযিল হতো! আজ অামরা ভাই ভাইয়ের ইজ্জত নষ্ট করি৷ খোজ করলে দেখা যাবে এর পেছনে হিংসাত্বক মনোভাব ছাড়া কিছুই নেই৷ কেন আমরা অন্যের ভালাই দেখতে পারবো না! কেন আমাদের এত নিচু ও হীন চিন্তা হবে৷ শরীয়ত তো আমাদের জন্য হিংসার পরিবর্তে রিশ্ক তথা ঈর্ষার অনুমতি দিয়েছে৷ ভালো কাজের প্রতিযোগিতার প্রতি তো ইসলাম তো আমাদেরকে উদ্বুদ্ধ করে৷ তাহলে কেন আমরা অন্যের সম্মানে আঘাত করতে যাবো! কারো স্পষ্ট গোমরাহী ভ্রষ্টতা না পেলে কেন আমরা তার পিছে পড়বো! তাকে নিয়ে সমালোচনা করবো!
কোন মন্তব্য নেই