একটি প্রচলিত প্রবাদ ও তার শরয়ী সীমারেখা…
একটি প্রচলিত প্রবাদ ও তার শরয়ী সীমারেখা…
বর্তমান সমাজে একটি কথা আমরা অনেকে প্রায়ই বলে থাকি। কেউ কোনো অন্যায় কাজ করলে আমরা বলি, পাপকে ঘৃণা কর পাপীকে নয়। আসলে কি কথাটা সঠিক? ইসলাম আমাদের কী বলে?
আসলে কথাটি , আমার যৎটুকু মনে হচ্ছে আপন স্থানে যথার্থ৷ যেহেতু বড় বড় আকাবির থেকেও এমন বাক্য শুনা যায়৷ তাছাড়া ধর্মীয় কোন কোন গ্রন্থেও পাওয়া যায়৷
একজন তো বললেন "মাজালিসে আবরারে" ও নাকি কথাটা আছে৷ কিন্তু তার উদ্দেশ্য আমি যা বুঝি তা হলো কোন ব্যাক্তি বা দলের মাঝে খারাপ বা পাপ দেখলে ঐ পাপকে ঘৃনা করে পাপীকে কাছে নিয়ে তাকে ইছলাহ করার চেষ্টা করা৷ এমন না হওয়া উচিত যে সে পাপী তাই বলে তাকে কাছেও জায়গা দেয়া যাবে না৷ (আল ইয়ায বিল্লাহ)
বরং তাকে কাছে টেনে তার ভুল শোধরিয়ে দেয়াই হলো পূন্যের লক্ষন৷ যদি তারপরও কেউ তা মেনে নেয় না তাহলে তো শরয়ী পদক্ষেপে তা প্রতিহত করতে হবে৷
অপরাধের ক্ষেত্রে লক্ষনীয় হলো: কারো অনিষ্টতা যদি হয় মুতাআ'দ্দী তথা অন্যকেও সে দোষ গ্রাস করে নেয় তাহলে তার প্রতিবাদও ঐ ভাবেই করতে হবে৷ আর যদি সেটা হয় একক ভাবে নিজস্ব গন্ডির ভিতরে যা সংক্রামিত হয় না অন্যের প্রতি সেটা সংশোধনের পথও হবে ভিন্ন৷ কিন্তু পাপীকে ঘৃনা করা মোটেই যাবে না৷ তার বিরুদ্ধে কোনভাবেই অবস্থান নেয়া সমুচীন না৷ তাকে তার বংশীয় মর্যাদা দিয়ে চুপ থাকতে হবে৷ কেমন কথা! আশ্চর্য! আমাদের কাজ হবে কেন ব্যাক্তি কেন্দ্রিক৷ লিল্লাহিয়াতই আমাদের লক্ষ্য থাকা চাই৷
দেখুন! আল্লাহ তায়া'লা কোরআনে কারীমে বলেছেন৷ যখন সায়্যিদুনা হযরত ইব্রাহীম আঃ কে খেতাব করে বললেন:
إني جاعلك للناس إماما
আমি তোমাকে সমস্ত মানুষের জন্য ইমাম বানিয়ে দিলাম৷
তখন তিনি প্রভুর কাছে আরয করেছিলেন:
قال ومن ذريتي
এই ইমামত ও নেতৃত্বের নেয়মত আমার সন্তানদেরকেও দান করুন৷ তখন আল্লাহ তায়ালা কত সুন্দর হাকিমানা উসলুবে উত্তর দিলেন৷ আইন ও নিয়ম বলে পূরো উম্মত কে তালিম দিলেন:
لا ينال عهدي الظالمين
আমার তরফ থেকে বিশেষ নিয়ামতের জন্য কোন যুররিয়্যাত বা বংশীয় গুন থাকলে হবে না৷ বরং তার মাঝে তাকওয়া থাকতে হবে৷ কোন জালিম সে নেয়ামতের ভাগিদার হবে না৷
রাসুলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:
من رأى منكم منكرا فليغيره بيده فإن لم يستطع فبلسانه فإن لم يستطع فبقلبه وذالك أضعف الإيما
তথা কারো মাঝে কোন দোষ বা অন্যায় পরিলক্ষিত হলে নিজের অবস্থান থেকে তা প্রতিহত করা ঈমানী দায়িত্ব৷ হয়ত হাতে নয়ত মূখে অন্যথায় কমপক্ষে অন্তরে ঐ পাপকে ঘৃনা করতে হবে৷
এভাবেই সব সমস্যার সমাধান কোরআন ও হাদীসে বর্নিত হয়ে আসছে৷
দেখুন!
কোরআনে বর্নিত যে সমস্ত অপরাধের জন্য হদ বা দন্ডবিধি নির্ধারণ দেয়া হয়েছে যার মূল হলো পাঁচটি৷
১৷যিনা ও ফাহেশা
২৷চুরি
৩৷অপবাদ
৪৷সন্ত্রাসী ও লুট তরাজী৷
৫৷মদ পান
এই পাঁচ ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে শরীয়ত নির্দিষ্ট হদ বা শাস্তি নির্ধারণ করে দিয়েছে৷ তবে অপরাধ সাব্যস্ত করার ক্ষেত্রে ইসলামী শরীয়তে রয়েছে শতভাগ নিশ্চয়তা৷ তথা খুবই সতর্ক ও কঠিন অবস্থানে দোষ সাবিত হলে শরীয়তের হদ আরোপিত হয়৷ কোনধরনের সন্দেহ বা শুবহাতের কারণে তা আবার মুলতুবী হয়ে যায়৷ নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর এরশাদ:
الحدود تندرئ بالشبهات
আল্লাহ প্রদত্ব দন্ডবিধি কোন ধরনের শুকুক ও সন্দেহ আগমনে তা রহিত হয়ে যায়৷
এ ছাড়াও অন্যান্য অপরাধ বা পাপের ক্ষেত্র তার খারাবী ও অনিষ্টতা বর্ননা করেছে৷ তবে তার জন্য নির্দিষ্ট হদ নেই৷ যেমন গীবত শিকায়াত হিংসা হাসাদ পরনিন্দা কিবির অহংকার আরো যা যা আছে৷ জাহেরি বাতেনি সব ধরনের অন্যায়৷
দেখুন!
কোরআনের এ ক্ষেত্রে শব্দগুলো কি আসছে৷ বলা বাহল্য সবচেয়ে বড় অপরাধ হলো আল্লাহর সাথে কুফর ও শিরক করা৷ যা সবচেয়ে নির্লজ্জ ও বেহায়াপনা ও গর্হিত কাজ৷ আসল মালিক কে ই অস্বীকার করা! কত্তো বড় জগন্য ও ন্যাক্কারজনক কাজ হতে পারে!
(নাউযু বিল্লাহ মিন যালিকা)
কোরআন তাদের ব্যাপারে বলে৷
اقتلوا المشركين حيث وجدتم..
এখানে المشركين ইসমে ফায়িল (সিগাতুল ফায়িল) শব্দ উল্লেখ করছেন৷ اقتلوا الشرك মাছদার শব্দ আসে নাই৷ অর্থাৎ পাপীকেই মারো!
হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবদ্দশায় কাফের মুশরিক বেঈমানদের বিরুদ্ধে শতাধিক গজওয়া সারিয়া পরিচালনা করেন৷ বদর, অহুদ, খাইবার খন্দক ফাতহে মক্কা সহ মতান্তরে সাতাইশের অধিক যুদ্ধে স্বয়ং নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্ব-শরীরে উপস্থিত ছিলেন৷
বনু কাইনুকা, বনু নজীর ও কোরাইযা গোত্রকে তো হুজুরের যমানায় ই মদীনা থেকে নির্বাসন করা হয়৷
আহলে উরাইনার শাস্তি এবং বনু বকর গোত্রের গাদ্দারীর প্রতিশোধ তো হুজুর নিজে উদ্দেগেই গ্রহন করেন৷
আব্দুল্লাহ ইবনে খাতাল কে তো হুজুর নিজেই হত্যার হুকুম দেন৷ সে তো তখন কাবার গিলাফে আশ্রয়িত ছিলো৷ তিনি ই রাহমাতুললিল আলামীন৷
رحماء بينهم أشداء على الكفار
যার সাথী সঙ্গীর বিশেষ গুন ছিলো৷
এমন নজীর তো আরো কত৷ কয়টা আর বলবো৷
দ্বিতীয়ত দেখুন: মুসলমানদের নিজস্ব ঘরোয়া অপরাধের ক্ষেত্রে কোরআন কি শব্দ ব্যাবহার করে সাজেসন দিচ্ছে৷
১৷ যিনার শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ বলেন: الزانية والذاني فاجلدوا كل واحد منهما مأة جلدة
ব্যাভিচার পুরুষ এবং ব্যবভিচারিনী নারীকে একশ দোররা প্রদান করো৷
২৷ চুরির শাস্তির ব্যাপারে আল্লাহ বলেন:
السارق والسارقة فاقطعوا ايديهما
চোর পুরুষ হোক আর নারী হোক তাদের হাত কেটে দাও৷
এমন সব জায়গাই চোর ও যিনাকার ও ব্যাভিচরিনীকে শাস্তি দেয়া কথা বলছে৷ চুরি যিনা ও অপরাধ কে শুধু ঘৃনা করার মধ্যে সীমিত করে দেয় নাই৷
এবার দেখুন!
রাহতুল লিল আলামীন প্রিয় নবীর আমল৷
অপরাধীদের ব্যাপারে কিরুপ ছিলেন তিনি৷ উদাহরণ স্বরুপ:
১৷ কোরাইশ গোত্রের জনৈকা মহিলা৷ নাম তার ফাতেমা বিনতে আসওয়াদ৷ একবার সে চুরির দোষে অভিযুক্ত হয়৷ সর্বসম্মতি বিধান অনুযায়ী হাত কাটার সিদ্ধান্ত৷ কিন্তু বংশীয় আত্মমর্যাদা তাদেরকে তা বাস্তবায়ন করা থেকে বাঁধা দিতে লাগলো৷ তাই তারা সুপারিশের জন্য নবীর প্রিয় সাহাবী হযরত উসামা রাযিঃ কে সিলেক্ট করে৷
এ খবর হুজুর শুনতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে ঘোষনা দিয়ে দিলেন৷
لو ان فاطمة بنت محمد سرقت لقطعت يدها.
নবীর মেয়ে ফাতেমাও যদি চুরি করতো আমি নবী মুহাম্মদ নিজেই তার হাত কাটতাম৷
২৷ নবীর সাহাবী হযরত মায়ি'যে আসলামী রাঃ যিনার গুনাহয় দোষী সাব্যস্ত হয়৷ সাধারন মজমায় সকলের উপস্থিতে তাকে যিনার হদ প্রদান করেন৷ তবে ঘটনা যাচাইয়ের জন্য বিভিন্ন ভাবে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাকে প্রশ্ন করেছিলেন৷ যেমন তাকে জিজ্ঞাসা করেন:
هل لمست؟هل قبلت؟هل غمزت؟
ইত্যাদি প্রশ্ন করে তার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন৷
৩৷ নবীর প্রিয় মহিলা সাহাবীয়া৷ জুহাইনা গোত্রের গামেদী রমনী৷ যিনা করে দরবারে নবুওয়েত হাজির৷ নবীর খেদমতে এসে বললেন আমি যিনার কারণে অন্তঃসত্তা৷ আপনি আমার উপর কোরঅান সুন্নাহ অনুযায়ী হদ জারি করেন৷ হুজুর তার পরিবার কে ডেকে বললেন৷ তোমরা তার উপর ইহসান করবে৷ গর্ভপাত হওয়া পর্যন্ত তাকে কোন ধরনের উস্কানী মূলক এমন কথা বলবে না যার ফলে তার মনে আঘাত আসে৷ গর্ভপ্রসব করে ঐ মহিলা সাহাবীয়া খাওফে ইলাহীর তাড়নায় নবীর দরবারে হাজির৷ হুজুর তাকে আবারো সময় দিলেন নবজাতক শিশু খাদ্যের উপযোগী হওয়া পর্যন্ত৷
দুই বছর পর এই সাহাবীয়া রাসুলের খেদমতে হাজির হয়ে কোরআনের বর্নিত হদ নিজের উপর বাধ্য করে প্রস্তর আঘাতে দুনিয়া থেকে বিদায় নিয়ে জান্নাতী হয়ে যায়৷ হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বয়ং নিজেই তার জানাযার ইমামতি করেন৷ আর এরশাদ করেন:
انها تابت توبة لو قسمت بين سبعين لوسعت
এই মহিলা আল্লাহর দরবাবরে এমন তাওবাই করছে যদি সত্তর জন তাওবাকারীর মাঝে তা বন্টন করা হয় তবুও এই মহিলার তাওবার গুন বেশি হবে৷ কেমন ছিলেন নবী আর কেমন ছিলেন নবীর প্রিয় সাহাবীয়া৷ শুধু দ্বীন ও ইলাহকেই সামনে রেখে কাজ করতেন তাঁরা৷
৪৷ বিনা ওজরে গজওয়ায়ে তাবুকে গমন করতে দেরি করার কারণে নবীর প্রিয় তিন সাহাবীর কাহিনী৷ হযরত কা'ব বিন মালেক, হিলাল ইবনে উমাইয়া, মুরারা ইবনে রবী রাযিঃ৷ আল্লাহ তখন তাঁদের ব্যাপারে কোরআনের আয়াত নাযিল করে দিলেন৷
وعلى الثلاثة الذين خلفوا
শুধু বিনা ওজরে জিহাদে শরিক না হওয়ার কারণে তাঁদের তাওবা গ্রহন পঞ্চাশ দিনের জন্য বিলম্ব করা হলো৷ পঞ্চাশ দিন যাবৎ সমস্ত সাহবী তাঁদের সাথে সাধরণ বয়কট কর্মসূচী পালম করেছিলো৷ চলা ফেরা কথা বার্তা সব বন্দ৷ দীর্ঘ পঞ্চাশ দিন পর আল্লাহ তাঁদের তাওবা কবুল করে নেন৷
এবার সাহাবীদের আমল দেখুন!
ইসলামের প্রথম খলিফা আমিরুল মু'মিনীন হযরত আবু বকর রাঃ কত্তো কঠিনভাবে ইরতেদাদের ফেৎনা দমন করেন৷ মুনকিরীনে যাকাতে দের বিরুদ্ধে কি কঠিন পদক্ষেপ গ্রহন করেন৷ দ্বীপ্ত কন্ঠে ঘোষনা দিয়ে দিলেন৷
أينقص الدين وأنا حي
দ্বীনের ক্ষতি হবে আর আমি অাবু বকর জীবিত থাকবো তা হবে না৷
কর্মসূচিও ঘোষনা করলেন
لأقاتلن من فرق بين الصلاةوالزكاة
যে নামাজ পড়বে আর যাকাতের বেলায় অস্বীকার করবে তার বিরুদ্ধে চলবে আমরণ জিহাদ সংগ্রাম৷ অপরদিকে হযরত ওমরকে ও ধমক দিয়ে বললেন৷
جبار في الجاهلية وخوار في الاسلام
জাহিলিয়াতের বাঘ এখন কেন কাপুরুষ! এই ছিলো দ্বীনের প্রতি আবু বকর রাঃ জযবা ও উদ্বেগ৷ আল্লাহ বুঝার তৌফিক দান করুক৷
ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা আমিরুল মুমিনীন হযরত ওমর ইবনে খাত্তাব রাযিঃ৷ কে না জানে তার ধর্মীয় কঠোরতার কথা৷
أشد هم في أمر الله عمر رضي الله عنه
সামান্য অপরাধকে কতো মারাত্বক নজরে দেখতেন৷ একদিন খলিফাতুল মুসলিমীন হযরত উসমান রাঃ জুমার নামাজে সামান্য দেরি করে উপস্থিত হলেন৷ মিম্বরে বসা হযরত ওমর রাঃ৷ তিনি তাঁকে ভরা মজলিসেই জিজ্ঞাসা করে বসলেন৷ জুমার নামাজে দেরি করে আসছেন কেন? উসমান রাযিঃ বললেন: আযান শুনা মাত্রই রওয়ানা দিয়ে চলে অাসলাম৷
এই ছিলো তাঁদের অপরাধ ও অন্যায়ের প্রতিবাদের সামান্য নজির৷ শুধু অন্তরে পাপকে ঘৃনা করে বসে থাকেন নি৷ বরং তার সংশোধনের জন্য চেষ্টা মেহনত অব্যহত রেখেছেন৷
সামান্য দু-একটা দৃষ্টান্ত পেশ করলাম মাত্র৷
দেখুন! একটু ভাবুন! শরীয়তের মেজায কি৷ তা অবশ্যই একজন আলেম ই নয় বরং একজন সাধারণ ধার্মিকের জন্য ও জানা জরুরি৷ শরীয়তে মুহাম্মাদীতে যে কোন কাজেরই দুইটা দিক থাকে৷ ভালো মন্দ বা নেক ও বদ৷ তবে তার ভিত্তি প্রায় ক্ষেত্রে নিয়তের উপরই নির্ভর করে৷ যেমন:
কোরআন ও হাদীসে ইলমের কতো ফাজায়েল ও গুরুত্ব আসছে৷ হুজুর সাঃ কে আল্লাহল নিজেই শিখালেন:
قل رب زد ني علما
হে নবী: আপনি আপনার রবের কাছে ইলম বৃদ্ধির জন্য দোয়া করুন৷ হুজুর ও দোয়া করলেন:
الهم اني اسئلك علما نافعا
হে আল্লাহ! আমাকে উপকারী ইলম দেন৷ যেহেতু এই ইলম আবার কখনো নিয়তের গড়বড়ের কারণে রহমতের জায়গায় যহমত ও মসিবতে পরিনত হয়৷ যার ব্যাপারে হাদীসে আসছে যে ইলম দিয়ে দুনিয়া অর্জন মাকছাদ ঐ আলেম জান্নাতে যাওয়া তো দূরের কথা বেহেস্তের ঘ্রান ও পাবে না৷ তাই হুজুর সাঃ ই আবার দোয়া করলেন:
الهم اني اعوذبك من علم لا ينفع
হে আল্লাহ ফায়েদাহীন ইলম থেকে আমাকে হিফাজত করেন৷
এমনি ভাবে নামাজির কত ফজিলত৷ নামাজীরা সফলকাম৷ তাঁরা আল্লাহর পেয়ারা৷ আরো কতো কিছু৷ আবার সেই নামাজির ব্যাপারেই আবার আসছে
ويل للمصلين الذين هم في صلاتهم ساهون
নামাজে অলস এমন নামাজী হালাক৷ কত্তো বড় ধমকি!
এমন সব ক্ষেত্রেই৷ আপনি নিজেই চিন্তা করলে দেখতে পারবেন৷ আল্লাহ সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুক৷
আসলে! কারো থেকে অন্যায় বা ভুল প্রকাশ পেলে কোন যমানায় ই তাকে কেউই ছাড় দেয় না৷ যত বড় হোক ব্যাক্তি বা মহান হোক৷ হয়ত শব্দ প্রয়োগের ক্ষেত্রে কিছু ভিন্নতা আসে৷ মাত্র এতটুকুই পার্থক্য৷ কারো ক্ষেত্রে বে-খায়লি বা তাছামুহ বলে৷ আবার করো বেলায় সরারসি ভুল বা অন্যায় ই ব্যাবহার করে দেয়৷ কিন্তু অন্যায় সে তো অন্যায় ই৷
দুঃখিত আমি! এত বড় একটা মাওযু' কে অতি সংক্ষেপে পেশ করার কারণে৷ বিস্তারিত জানতে চাইলে যা করার তা করুন৷ আল্লাহু সর্বাধিক জ্ঞাত৷ আল্লাহ ই সঠিক ও আসল বস্তুুর আলীম৷ এ ক্ষেত্রে আপনার গবেষনা ও ইজতেহাদ এক নাও হতে পারে………
তামজীদুল_মাওলা_কাসেমি
শিক্ষার্থী:দারুল উলুম দেওবন্দ
কোন মন্তব্য নেই