হিন্দু ধর্মে প্রভুর ধারণা


আসসালামুআলাইকুম ওয়ারহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহ।

আজ আমরা আলোচনা করবো হিন্দুধর্মের আকীদা-বিশ্বাস নিয়ে।


প্রভু সম্পর্কে আকীদা।

মহান প্রভু,তিনি ছিলেন এক এবং নিরাকার। তিনি যখন মানুষ জাতি সৃষ্টি করার ইচ্ছা করলেন।তখন তিনি একজন মহৎ পুরুষ রূপ ধারণ করলেন।যার ছিলো অসংখ হাত পা ও অঙ্গ-পতঙ্গ।সেই পুরুষ রূপি প্রভুর নাম হয় নারায়ণ।
-----------------------
হিন্দু ধর্মে প্রধান তিন প্রভু।

১-সৃষ্টিকর্তা,ব্রহ্মা।
২-পালনকর্তা,বিষ্ণু।
৩-ধ্বংসকর্তা,শিব।


হিন্দু ধর্মে সবচেয়ে পবিত্র ও প্রধান গ্রন্থের নাম,বেদ।এটা চার ভাগে বিভক্ত।

১-ঋগ্বেদ।
২সামবেদ
৩-যজুর্বেদ।
৪-অথর্ববেদ
---------------------------------------------------
#একংব্রহ্ম।দ্বিতীয়ংনাস্তি।নেহ নানাস্তি কিঞ্চন।
অর্থ:প্রভূ এক তার দ্বিতীয় কেউ নেই।নেই নেই কিঞ্চিৎ পরিমানও নেই।

(ঋগ্বেদ:১০নং মন্ডল,১১৪ নং সুক্ত,০৫নং মন্ত্র এবং কটউপনিষদ:২নং অধ্যায়,১ নং বল্লি,১১নং মন্ত্র)
---------------------------------------------------
বিশেষ দ্রষ্টব্য :ঋগ্বেদ মন্ত্রটি নেই তবে অর্থ আছে।দাওয়াতি কাজে এটা উল্লেখ করার দরকার নেই।


এবার আমরা প্রধান তিন প্রভূর সংক্ষিপ্ত পরিচয় জানবো।
---------------------------------------------------
মূল প্রভূর গুনগুলো আলাদা হয়ে বিভিন্ন রূপ ধারণ করেছে আর সেই গুনগুলো এক একজন প্রভূ নাম ধারাণ করেছে।মূল স্রষ্টা প্রতিটি সৃষ্টির মাঝে বিলিন হয়ে গেছে ফলে স্রষ্টার নিজেস্ব কোনো স্বকীয়তা এবং অস্তিত্ব বাকি থাকিনি।তাই এক কথায় বলা যায় পৃথিবীতে কোনো সৃষ্টি নেই।সব কিছুই স্রষ্টা।

১-ব্রহ্মা,সৃষ্টিকর্তা।

এটা মূল প্রভূর সৃষ্টির গুনটা আলাদা হয়েছে মাত্র।
সৃষ্টি করা তার কাজ।বিশ্বের সব তিনি সৃষ্টি করেছেন।তার চার হাত,চার মাথা।সাদা দাড়ি।তার হাতে চারটি জিনিষ আছে,
১.জলপাত্র।
২.স্রক(মালা)
৩.মাটির পাত্র।
৪.জপমালা।
তার স্ত্রী,শিবের কন্যা সরস্বতী।কন্যা,শতরূপা।

যখন তার পুজা দেওয়া হয়:

সকল শুভ কাজে তার পুজা দেওয়া হয়।যেমন,বিবাহ লগ্নপত্রে,সূতিকাগৃহে,শিশু জন্মের ষষ্ঠ দিনে,ইত্যাদী।

২.বিষ্ণু,পালনকর্তা।

মূল প্রভূর লালন-পালনের গুন এটা।
বিশ্বের সব তিনি লালন পালন করেন।তার চারটি হাত।হাতে আছে,
১.শংখ
২.চক্র
৩.গদা
৪.পদ্ম।
তার বাহন গরুর পাখি।(মাথা গরুর মত আর বাকি অংশ পাখির মত।
তার স্ত্রী,শিবের কন্যা লক্মী।(আমরা আদর করে লক্মী বলে থাকি,এটা বর্জনীয়)

যখন তার পুজা দেওয়া হয়:

তাকে পুজা দেওয়ার নিদৃষ্ট কোনো তারিখ বা সময় নেই।মনোবাসনা পূরণে তাকে পুজা দেওয়া হয়।

তিনি পৃথিবীতে দশ বার দশ রূপে অবতরণ করেন।যাকে বলা হয় দশ অবতার।

৩.শিব,ধ্বংসকর্তা।

মূল প্রভূর ধ্বংস করার গুন এটা।
তিনি মঙ্গলও করেন।মঙ্গলের জন্যই তিনি ধ্বংস করেন।তার পরিধানে ব্যাঘ্রচর্ম,মাথায় জাঁ(খোপা),গলায় সর্পের উপবীত এবং হাতে নানারকম অস্ত্র।তিনি অল্পতে তুষ্ট এবং অল্পতেই রুষ্ট।তাই তাকে ভোলানাথ বলা হয়।

তার স্ত্রী সতী(পার্বতী,উমা,দুর্গা)এই নামগুলো পরবর্তি উপাধি।
প্রসিদ্ধ সন্তান,মেয়ে ২জন,লক্মী ও সরস্বতী আর ছেলে ২জন,কার্তিক,গনেষ।আরো বহু সন্তান রয়েছে তার।

যখন তার পুজা দেওয়া হয়:

ফাল্গুন মাসে,কৃষ্ণপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে শিবের পুজা বেশি হয়।ধ্বংস থেকে রক্ষা পেতেও তার পুজা দেওয়া হয়।

চলবে ইনশাআল্লাহ


কোন মন্তব্য নেই

nicodemos থেকে নেওয়া থিমের ছবিগুলি. Blogger দ্বারা পরিচালিত.